নিরাপদ প্রোটিন এর জন্য আমরা

ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত প্রোটিন অস্ব্যাস্থকর  ।

নিরাপদ থাকুন, সুস্থ্য থাকুন

আমাদের মুল লক্ষ পারত পক্ষে কোন প্রকার এন্টিবায়োটিকের ব্যাবহার না করে স্বল্প ব্যায়ে স্বাস্থ্য সম্মত প্রানিজ আমিষ উৎপাদনের মাধ্যমে খামারিদের কে লাভবান করা এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকি মুক্ত আমিষ সরবরাহ করা।

প্রায় ৮০ হাজার গ্রাম নিয়ে আমাদের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠি আদিকাল থেকে হাঁস-মুরগি লালন পালন করে আসছে। এই হাঁস-মুরগি লালন পালন একদিকে যেমন পুষ্টির ঘাটতি পুরণ করে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে। ধীরে ধীরে এই গৃহপালিত হাঁস-মুরগি আজ দেশের বৃহৎ শিল্পে রূপ লাভ করেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ২৭ কোটি মুরগি ও ৫ কোটি হাঁস আছে।

শিল্পে রূপান্তরিত এই হাঁস-মুরগি বাংলার জনগণের পুষ্টির অন্যতম উৎস আমিষ সরবরাহ, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচনসহ অর্থনৈতিকভাবে দেশকে স্বাবলম্বী করছে। এসডিজিতে যে ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে ১৪টিই লক্ষ্য অর্জনে কোন না কোন ভাবে পোল্ট্রি শিল্প শিল্পের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গাইডলাইন অনুসারে একজন মানুষকে বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম ও দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংস খেতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ ডিম এবং মাংস উৎপাদন হচ্ছে তাতে এই চাহিদা পূরণ হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিম ও মাংসের এই প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়ার বড় কারণ হলো দেশে মুরগির ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইভস্টক ইকোনমির প্রতিবেদন অনুসারে, সরকারি হিসাবে দেশে বছরে মাংসের চাহিদা রয়েছে ৭৩ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে মুরগিসহ দেশের মাংস উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৭৭ লাখ টন। দেশে ডিমের চাহিদা রয়েছে বছরে এক হাজার ৭৩২.৬৪ কোটি পিস। উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার ৭৩৬.৪৩ কোটি পিস। গত অর্থবছর (২০১৯-২০) দেশে মোট হাঁস-মুরগি উৎপাদন হয়েছে ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ। আগের বছর ছিল ৩৪ লাখ ৭০ হাজার। 

বিদায়ী অর্থবছর দেশে মুরগির উৎপাদন ছিল ২৯ কোটি ৬৬ লাখ আর হাঁসের উৎপাদন ছিল পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ। আগের অর্থবছর মুরগির উৎপাদন ছিল ২৮ কোটি ৯২ লাখ ও হাঁসের উৎপাদন ছিল পাঁচ লাখ ৭৭ হাজারটি। বছর দশেক আগেও (২০১০-১১) দেশে হাঁস-মুরগিসহ পোল্ট্রির উৎপাদন ছিল ২৭ কোটি ৮৮ লাখ। অর্থাৎ গত ১০ বছরে পোল্ট্রি শিল্পে বার্ষিক উৎপাদন বেড়েছে প্রায় আট কোটি।  সমহারে বেড়েছে ডিমের উৎপাদনও। দেশে সর্বশেষ অর্থবছরে (২০১৯-২০) ডিমের উৎপাদন ছিল এক হাজার ৭৩৬ কোটি পিস। আগের বছর ছিল এক হাজার ৭১১ কোটি পিস। বছর দশকে আগেও ডিমের উৎপাদন ছিল অর্ধেকেরও কম। ২০১০-১১ সালে দেশে ডিমের উৎপাদন হয় ৫৭৪.২৪ কোটি পিস।

ইতিমধ্যে আমাদের দেশে প্রায় ২ লক্ষের মতো বাণিজ্যিক ব্রয়লার ও লেয়ার খামার গড়ে উঠেছে, পাশাপাশি ৮ টি গ্র্যান্ড প্যারেন্ট ফার্মসহ ২০০ এর অধিক ব্রয়লার ও লেয়ার প্যারেন্ট খামার গড়ে উঠেছে, এছাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ এর মতো সোনালী প্যারেন্ট খামার গড়ে উঠেছে। এই সব প্যারেন্ট খামার হতে প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি এর বেশি ব্রয়লার বাচ্চা, ২০ লক্ষ এর বেশি লেয়ার ও ৩০ লক্ষ এর বেশি সোনালী বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে। দুই শতাধিক এর উপর ফিড প্রস্তুতকারক কোম্পানী ফিড প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছে। আদিকাল থেকে আমাদের দেশে হাঁস-মুরগি লালিত পালিত হয়ে আসলেও ৯০ এর দশক থেকে মূলত এটা শিল্পে রূপ নিতে থাকে।

এক সময় আমাদের দেশে প্রচুর হাঁস-মুরগি বিভিন্ন অসুখে মারা যেত। ধীরে ধীরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে থাকে। ফলে উন্নত চিকিৎসা ও উন্নত ঔষধ ও উন্নত খামার ব্যবস্থাপনার কারণে এ দেশের হাঁস মুরগির বিভিন্ন ধরণের অসুখ হতে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে।
পোল্ট্রি শিল্পে ঔষধ এর মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের অসংখ্য কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করে বাজারজাত করছে। ব্যাপক আকারে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে খামারিদের উৎপাদন খরচ ক্রমেই বেড়েই চলেছে। খামারিদের উৎপাদন খরচ কমানো এবং স্বাস্থ্য সম্মত প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনের লক্ষ্যে হাঁস-মুরগির চিকিৎসার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

সেই লক্ষ্যে দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বৎসর হাঁস এবং মুরগির উপর ক্ষুদ্র আকারে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই গবেষণাটি সফল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আমরা ঈর্ষানীয় সফলতা অর্জন করি। যদিও কোন ঔষধ কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতা আমাদের উদ্দেশ্য না।

কেন জৈব ঔষধ ব্যাবহার করবেন

স্ব্যাস্থ্যকর এবং নিরাপদ ।
g

টক্সিক না

স্ব্যাস্থ্য ঝুকি নেই

ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক মুক্ত

আমাদের ঔষধ সমূহ

পুল্লুসান প্লাস

রিভিটা প্লাস

চিক ন্যাভাল কিউর

ইমিউনি প্লাস

চিক ক্যালক্সি

চিক নিউরোভিট

সুবিতো প্লাস

চিক ডিসেন্ট্রি কেয়ার

চিক রেসপিরেটর

চিক ওডিমা গার্ড