এই হাঁস মুরগি লালন পালন একদিকে যেমন পুষ্টির ঘাটতি পুরন করে, অন্যদিকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে। ধীরে ধীরে এই গৃহপালিত হাঁস মুরগি আজ দেশের বৃহৎ শিল্পে রূপ লাভ করেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ২৭ কোটি মুরগি ও ৫ কোটি হাঁস আছে। শিল্পে রূপান্তরিত এই হাঁস মুরগি বাংলার জনগনের পুষ্টির অন্যতম উৎস আমিষ সরবরাহ, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন সহ অর্থনৈতিক ভাবে দেশ কে স্বাবলম্বী করছে।
ইতিমধ্যে আমাদের দেশে প্রায় ২ লক্ষের মতো বাণিজ্যিক ব্রয়লার ও লেয়ার খামার গড়ে উঠেছে, পাশাপাশি ৮ টি গ্র্যান্ড প্যারেন্ট ফার্ম সহ ২০০ এর অধিক ব্রয়লার ও লেয়ার প্যারেন্ট খামার গড়ে উঠেছে, এছাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ এর মতো সোনালী প্যারেন্ট খামার গড়ে উঠেছে। এই সব প্যারেন্ট খামার হইতে প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি এর বেশি ব্রয়লার বাচ্চা, ২০ লক্ষ এর বেশি লেয়ার ও ৩০ লক্ষ এর বেশি সোনালী বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে। আদিকাল থেকে আমাদের দেশে হাঁস মুরগি লালিত পালিত হয়ে আসলেও ৯০ এর দশক থেকে এটা শিল্পে রূপ নিতে থাকে।
পোলট্রি শিল্পে ঔষধ এর মাত্রা দিন দিন বেরেই চলেছে। দেশের অসংখ্য কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করে বাজারজাত করছে। ব্যাপক আকারে এন্টিবায়োটিকের ব্যাবহারও মানব স্বাস্থ্য এর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে খামারিদের উৎপাদন খরচ ক্রমেই বেড়েই চলেছে। খামারিদের উৎপাদন খরচ কমানো এবং স্বাস্থ্য সম্মত প্রানিজ আমিষ উৎপাদনের লক্ষে হাঁস মুরগির চিকিৎসার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। সেই লক্ষে দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বৎসর
হাঁস এবং মুরগির উপর ক্ষুদ্র আকারে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই গবেষণাটি সফল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আমরা ঈর্ষানীয় সফলতা অর্জন করি। যদিও কোন ঔষধ কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতা আমাদের উদ্দেশ্য না।